পরিবারের অভিযোগ, সাত মাস টেকনাফ থানার অন্ধ কুঠুরিতে রেখে শেষ পর্যন্ত মেরে ফেলা হয় আব্দুল জলিলকে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যার ঘটনার পর এমন একের পর এক লোমহর্ষক অভিযোগ নিয়ে ভুক্তভোগীরা সামনে আসছেন আদালতের।
৩ ডিসেম্বর ২০১৯ । কক্সবাজার থেকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে সিএনজি চালক আব্দুল জলিলকে। ডিবি পুলিশ সোপর্দ করে টেকনাফ থানায়। স্বামী নিখোঁজের ঘটনার অভিযোগ জানাতে ছেনোয়ারা বেগম থানায় যান কয়েক দফা। কিন্তু জলিলের বাড়ি গিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন ওসি প্রদীপ, দেখানো হয় ভয়ভীতি। ৫ লাখ টাকাও দেন ছেনোয়ারা। তারপরও স্বামী থানায় বন্দি। হাজতিদের কাছে ছেনোয়ারার কাছে কয়েকদফা বন্দি থাকার কথা জানিয়ে খবর পাঠান জলিল। বিষয়টি নিয়ে ছেনোয়ারা যান এসপির কাছে। ফল আসেনি কোনো।
ছেনোয়ারা বেগম বলেন, আমি কিরে আপনাদের এত টাকা দেবো। তারা বলে, টাকা না দিলে তোমার স্বামীকে মেরে ফেলবো। দীর্ঘ ৭ মাস পর সাত জুলাই আব্দুল জলিলের লাশ পান ছেনোয়ারা বেগম। ততদিনে চেনা যায় না। সুস্থ স্বাভাবিক আব্দুল জলিল জরাজীর্ণ। মৃত জলিলকে দেখানো হয় অস্ত্র মামলার আসামি।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা নিহতের ঘটনার পর প্রদীপসহ ১২ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে দুই সন্তানসহ হাজির আদালতে ছেনোয়ারা বেগম আরও বলেন, তাকে (স্বামী আবদুল জলিল) ধরা হয় ৩ ডিসেম্বর ২০১৯। আমি লাশ পেয়েছি ৭ জুলাই ২০২০।
আগামি ১০ জুলাই আব্দুল জলিলের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ও মামলা দায়েরের নথি দাখিলের নির্দেশ দিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।